ব্যবসায় সেল বাড়ানোর দারুণ ৫ কৌশল!

 


ব্যবসায় সেল বাড়ানোর দারুণ ৫ কৌশল

 অনলাইন ব্যবসায় সেল বা বিক্রি বাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট সহজ কিছু ফর্মুলা খুবই কার্যকর। যেকোন অবস্থাতেই এই ব্যাপারগুলো ঠিক রাখলে ইনশাআল্লাহ পরিচিতি ও বিক্রি বেড়ে যাবে

১. প্রোডাক্টের মান বাড়াতে হবে: 

প্রতিযোগীতা আগে বাড়তে হলে কিছু জিনিস আমাকে বেশি দিতেই হবে।

হয় একই দামে অন্যদের থেকে পরিমাণে বেশি দিবো, নয়তো মান ভালো দিবো, নয়তো সার্ভিস দিবো, নয়তো কিছু ফ্রি দিবো। কিছু না কিছু আমাকে দিতেই হবে কাস্টমারকে যা তারা অন্যদের থেকে পাবে না। 

তাহলেই ন্যাচারাল মার্কেটিং ভালো হবে।

২. গেটআপ সুন্দর করতে হবে: 

বিক্রি বাড়াতে কাস্টমারকে বেশি সময় রাখতে অফলাইনে আমরা কি করি?

ভালো করে ডেকরোরেশন কিনি, প্লাস্টিকের ফুল, লাইট দিয়ে সাজাই, সুগন্ধী- এয়ারফ্রেশনার দেই, এসি লাগাই, কাঁচের কাজ করি, টাইলস দেই, চেয়ার-সোফা ভালো করি।

 অনলাইনে আমার দোকান-ঘর-অফিস হলো আমার ফেইসবুক পেজ, আমার প্রোফাইল, আমার ওয়েবসাইট। 

এখানে ফুল- লাইট- ঝাড়বাতি হলো কন্টেন্ট। 

সুন্দর সুন্দর কন্টেন্ট দিয়ে সাজাতে হবে।

অনলাইনে সুগন্ধী - এসি হলো উপকারী কন্টেন্ট, উপকারী তথ্য। 

এখানে কাঁচের কাজ-টাইলস- হলো সুন্দর একটা লোগো এবং সুন্দর সুন্দর প্রোফাইল পিকচার। লোগো বাজে বা অস্পস্ট হলে তা কখনোই ব্রান্ড করতে পারে না। 

অনেক সময় শুধু লুক বাজে হবার কারণে ফুড, ফ্যাশন ইত্যাদি স্টার্টআপগুলো প্রতিদিন অসংখ্য কাস্টমার হারায়। 

অনলাইন বিজনেসের ভালো গদিওয়ালা আরামদায়ক চেয়ার হলো ভালো ভিডিও।

 ভিডিও এখন সবচাইতে বেশি চলছে। ভিডিও কথা ও দৃশ্যর উপর সেল হ্রাসবৃদ্ধি অনেকখানি নির্ভর করে। 

মানুষ এগুলোর জন্যই আমার পেজে যাবে। মানুষ এগুলো দেখতেই আমার ওয়েবসাইটে সময় কাটাবে। আর বেশি সময় কাটালে বেশি পরিচিত হবে। বিশ্বাস বাড়বে। এবং এক সময় আমার থেকেই জিনিসপত্র কেনা শুরু করবে।

৩. পরিমিত ও ভদ্র ব্যবহার: 

অনলাইন এবং অফলাইনের ব্যবসায় শাইন করতে হলে, চকমক ঝকঝক করতে হলে ভালো ও ভদ্র ব্যবহারের কোন বিকল্প নাই। এর জন্য কিন্তু প্রতি কথায় জি স্যার, জি ম্যাম, জি হুজুর করে করে গলে পড়তে হবে না। 

মিথ্যা আশ্বাস কিংবা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিতে হবে না। 

ব্যালেন্সড আন্তরিকতাই বরংচ সবচাইতে সুন্দর।

নারীদের জন্য অবশ্য একটু বিপদ, ভালো করে সুন্দর করে কথা বললে শুধু অযাচিত প্রেমে-বিয়ের প্রস্তাব আসতে থাকে। এজন্য ব্যবসা গোছানোর সাথে সাথে বাড়তি মাহরাম পুরুষ পার্টনার বা বিক্রয় কর্মী খুজতে থাকতে হয়।

৪. জায়গা বুঝে কাস্টমার খোজা: 

দেখুন প্লেস বুঝে দোকান দিলে ছাইপাশও হু হু করে বিক্রি হতে থাকে এটাতো আমরা বুঝি।

আবার জানি ভার্সিটির পাশে বই-ফুচকার দোকান চলে ভালো। কিন্তু ভার্সিটি আর কলেজের সামনে সাধারণত ইট পাথরের দোকান ততটা চলবে না, এটাও আমরা ভালো বুঝি।

অনলাইনেও কিন্তু এমন ব্যাপার আছে। যেখানে আমার পণ্যের কাস্টমাররা ভীড় করে, ঘোরাফেরা করে আমাকে কিন্তু সেই পেজ, সেই গ্রুপই টার্গেট করে মার্কেটিং করতে হবে।

অডিয়েন্সের ইন্টারেস্ট বুঝে সেখানে ইভেন্ট করতে হবে, স্পনসর নিতে হবে, টার্গেট করে বুস্টিং করতে হবে।

৫. কাস্টমার চাহিদা বোঝা:

 কাস্টমারের মন বোঝার চেষ্টা করতে হবে। তাদের আলাপ শুনতে হবে। তাদের কথা পড়তে হবে। তাদের মেসেজ চেক করতে হবে। তাদের কমেন্ট বুঝতে হবে। কি চায় তারা?

কি সে তাদের জীবন একটু সহজ হয়?

 কি সমস্যায় তারা বিরক্ত হচ্ছে? বাড়তি কি দিলে খুশি? 

এগুলো বুঝে পণ্য ও সার্ভিস হ্রাস বৃদ্ধি করলে অবশ্যই ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান বসে থাকবে না। তুফানের গতিতে এগিয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ।

0 Comments